জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন প্রশ্নে আপিলের আদেশ দেয়া হবে আগামী ১৫মে (মঙ্গলবার)। দ্বিতীয় দিনের মতো শুনানি শেষে বুধবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চে আদেশ দেয়ার জন্য আগামী মঙ্গলবার তারিখ ধার্য করেন।
আজ আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি শুরু করেন তার আইনজীবী সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী।
রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিতি ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, আর দুদকের পক্ষে রয়েছেন আইনজীবী খুরশিদ আলম।খান।
গতকাল সকালে খালেদা জিয়ার জামিন প্রশ্নে শুনানি করেন দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন। এরপর খালেদার পক্ষে এজে মোহাম্মদ আলী শুনানি শুরু করলেও গতকাল অসমাপ্ত থেকে যায়। সেখান থেকেই আজ সকাল নয়টা ২০ মিনিটে শুনানি শুরু করেন মোহাম্মদ আলী। আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের পর রায় ঘোষণার জন্য ১৫ মে তারিখ নির্ধারণ করেন আপিল বিভাগ।
গত ১৯ মার্চ মামলাটি শুনানির জন্য ৮ মে দিন ধার্য করেছিলেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন একই বেঞ্চ। গতকাল মঙ্গলবার শুনানি হওয়ার পর আজ আবার শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের লিভ টু আপিল এবং আপিল বিভাগের স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া সংক্রান্ত খালেদা জিয়ার আবেদনের ওপর এই শুনানি হয়।
গত ১২ মার্চ দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে চার মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। পাশাপাশি এ মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা কেন বাড়ানো হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করে আদালত।
এরপর ১৯ মার্চ প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ ৮ মে পর্যন্ত জামিন স্থগিতের আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আইনজীবীদের আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দিতে বলেন।
চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৫-এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামানের আদালত খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। একই আদালত খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয় আসামির প্রত্যেককে দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা করে অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন। রায়ের দিনই খালেদা জিয়াকে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।